বাংলা গীতি কবিতায় ভোরের পাখি কে?
বিহারীলাল চক্রবর্তী (২১ মে, ১৮৩৫ - ২৪ মে, ১৮৯৪) বাংলা ভাষার কবি। বাংলা সাহিত্যের প্রথম গীতি - কবি হিসেবে তিনি সুপরিচিত। রবীন্দ্রনাথ তাকে বাঙলা গীতি কাব্য - ধারার 'ভোরের পাখি' বলে আখ্যায়িত করেন। তার সব কাব্যই বিশুদ্ধ গীতিকাব্য। মনোবীণার নিভৃত ঝংকারে তার কাব্যের সৃষ্টি। বাঙালি কবি মানসের বহির্মুখী দৃষ্টিকে অন্তর্মুখী করার ক্ষেত্রে তার অবদান অনস্বীকার্য। অতি অল্পকালের ভিতরে তিনি বাংলা কবিতার প্রচলিত ধারার পরিবর্তন ঘটিয়ে নিবিড় অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যমে গীতিকবিতার ধারা চালু করেন। এ বিষয়ে তিনি সংস্কৃত ও ইংরেজি সাহিত্যের মাধ্যমে গভীরভাবে প্রভাবিত হন। বিহারীলাল তার কবিতায় ভাবের আধিক্যকে খুব বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রকৃতি ও প্রেম, সংগীতের উপস্থিতি, সহজ - সরল ভাষা বিহারীলালের কবিতাকে দিয়েছে আলাদাধারার বৈশিষ্ট্য।
Related Questions
মতিচুর প্রথম খণ্ড, মতিচুর দ্বিতীয় খণ্ড, পদ্মরাগ, সুলতানার স্বপ্ন, অবরোধবাসিনী--ইত্যাদি বেগম রোকেয়া রচিত গ্রন্থ।
সৌজন্য: (বিশেষ্য পদ) ভদ্রতা, অমায়িকতা, শিষ্ট - ব্যবহার।
'অর্ধচন্দ্র' - এর অর্থ গলা ধাক্কা দেয়া।
অর্ধচন্দ্র (বিশেষ্য পদ) শব্দ টির অর্থ - আধখানা চাঁদ, গলাধাক্কা, প্রহার।
সূর্য /বিশেষ্য পদ/ ভাস্কর, আদিত্য, রবি, তপন, ভানু, দিবাকর, মার্তন্ড, বিভাবসু, মিত্র, মিহির, পূষা, প্রভাকর।
সমাস ভাষাকে সংক্ষেপ করে।
সমাস: সমাস শব্দের অর্থ মিলন। অর্থ সম্বন্ধ আছে এমন একাধিক শব্দের মিলিত হয়ে একটি নতুন শব্দ তৈরির ব্যাকরণ সম্মত প্রক্রিয়াকেই বলা হয় সমাস।
মূলত, সমাসে একটি বাক্যাংশ একটি শব্দে পরিণত হয়। সমাসের রীতি বাংলায় এসেছে সংস্কৃত ভাষা থেকে।
বাক্যে শব্দের ব্যবহার কমানোর উদ্দেশ্যে সমাস ব্যবহার করা হয়।
উল্লেখ্য, সমাস অর্থ সম্বন্ধপূর্ণ একাধিক শব্দের মিলন। আর সন্ধি পাশাপাশি অবস্থিত দুইটি ধ্বনির মিলন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নৈবেদ্য’ কাব্যগ্রন্থের ৩০তম কবিতার প্রথম লাইন হলো “বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি সে আমার নয়”।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর বিখ্যাত কিছু উক্তিঃ
- ‘একখানি ছোট ক্ষেত আমি একেলা।' (সোনার তরী)
- যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চল রে।”
- ‘শিশুরাজ্যে এই মেয়েটি একটি ছোটখাট বর্গির উপদ্রব বলিলেই হয়।' (সমাপ্তি)
- ‘শৈবাল দীঘিরে কহে উচ্চ করি শির, লিখে রেখ এক ফোঁটা দিলেম শিশির।’
- ‘সন্ধ্যারাগে ঝিলিমিলি ঝিলমের স্রোতখানি বাঁকা।' (বলাকা)
- ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্য সুন্দর।'
- গ্রহণ করেছ যত ঋণী তত করেছ আমায়।' (শেষের কবিতার লাবণ্যর উক্তি)
- “কিন্তু মঙ্গল আলোকে আমার শুভ উৎসব উজ্জ্বল হইয়া উঠিল’। (কাবুলিওয়ালা)
- ‘আমি এ কথা, এ ব্যথা, সুখ-ব্যাকুলতা কাহার চরণ তলে দিব নিছনি।' -রবীন্দ্রনাথে এ গানে ‘নিছনি’পূজা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
- ‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল সে মরে নাই’ (জীবিত ও মৃত)
- ‘ফ্যাশনটা হলো মুখোশ, স্টাইলটা হলো মুখশ্রী' (শেষের কবিতা)
- কালের যাত্রা ধ্বনি শুনিতে কি পাও? (শেষের কবিতা)
জব সলুশন