নিচের কোন বহুবচনজ্ঞাপক শব্দ কেবল অপ্রাণিবাচক শব্দের সঙ্গে যুক্ত?
Related Questions
একের বেশি সংখ্যাক বোঝাতে যেসব লগ্নক ( রা, এরা, গুলো, গুলি, দের, রাজি, মালা, সমূহ, গুচ্ছ) বিশেষ্য বা সর্বনামের সঙ্গে যুক্ত হয়, সেগুলোকে বচন বলে। অপ্রাণিবাচক শব্দের বহুবচন ব্যাবহিত লগ্নক/শব্ধঃ গুচ্ছ -> কবিতাগুচ্ছ, কেশগুচ্ছ।
ধ্বনির পরিবর্তন তিন প্রকার। যথাঃ ধ্বন্যাগম, ধ্বনিলোপ ও ধ্বনির রূপান্তর।
স্বরাগম ক) আদি স্বরাগম / Prothesis : উচ্চারণের সুবিধার জন্য বা অন্য কোনো কারণে শব্দের আদিতে স্বরধ্বনি এলে তাকে বলে আদি স্বরাগম। যেমন : স্কুল>ইস্কুল, স্টেশন>ইস্টিশন। এরূপ : আস্তাবল, আস্পর্ধা। খ) মধ্য স্বরাগম, বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি / Anaptyxis : সময় সময় উচ্চারণের সুবিধার জন্য সংযুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির মাঝখানে স্বরধ্বনি আসে। একে বলা হয় মধ্য স্বরাগম বা বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি। যেমন : অ : রত্ন>রতন, ধর্ম>ধরম, স্বপ্ন>স্বপন, হর্ষ>হরষ ইত্যাদি। ই : প্রীতি>পিরীতি, ক্লিপ>কিলিপ, ফিল্ম>ফিলিম ইত্যাদি। উ : মুক্তা>মুকুতা, তুর্ক>তুরুক, ভ্রু>ভুরু ইত্যাদি। এ : গ্রাম>গেরাম, প্রেক>পেরেক, স্রেফ>সেরেফ ইত্যাদি। ও : শ্লোক>শোলোক, মুরগ>মুরোগ>মোরগ ইত্যাদি। গ) অন্ত্যস্বরাগম / Apothesis : কোনো কোনো সময় শব্দের শেষে অতিরিক্ত স্বরধ্বনি আসে। এরূপ স্বরাগমকে বলা হয় অন্ত্যস্বরাগম। যেমন : দিশ >দিশা, পোখত্ >পোক্ত, বেঞ্চ >বেঞ্চি, সত্য>সত্যি ইত্যাদি।
জব সলুশন