ধ্বনির পরিবর্তন কত প্রকার?

ক) দুই প্রকার
খ) তিন প্রকার
গ) চার প্রকার
ঘ) পাঁচ প্রকার
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:

ধ্বনির পরিবর্তন তিন প্রকার। যথাঃ ধ্বন্যাগম, ধ্বনিলোপ ও ধ্বনির রূপান্তর।

Related Questions

ক) সম্প্রকর্ষ
খ) স্বরসঙ্গতি
গ) পরাগত
ঘ) অসমীকরণ
Note : দুটি সমজাতীয় স্বরের পুনরাবৃত্তি এড়ানোর জন্য মাঝখানে অন্য একটি স্বরধ্বনি যুক্ত করার প্রক্রিয়াকে 'অসমীকরণ' বা Dissimilation বলা হয়। যেমন: টপ + টপ = টপাটপ। এখানে পুনরাবৃত্তি এড়াতে একটি 'আ' স্বরধ্বনি আনা হয়েছে।
ক) ব্যঞ্জন বিকৃতি
খ) স্বরাগম
গ) পরাগম
ঘ) অসমীকরণ
Note :

স্বরাগম ক) আদি স্বরাগম / Prothesis : উচ্চারণের সুবিধার জন্য বা অন্য কোনো কারণে শব্দের আদিতে স্বরধ্বনি এলে তাকে বলে আদি স্বরাগম। যেমন : স্কুল>ইস্কুল, স্টেশন>ইস্টিশন। এরূপ : আস্তাবল, আস্পর্ধা। খ) মধ্য স্বরাগম, বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি / Anaptyxis : সময় সময় উচ্চারণের সুবিধার জন্য সংযুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির মাঝখানে স্বরধ্বনি আসে। একে বলা হয় মধ্য স্বরাগম বা বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি। যেমন : অ : রত্ন>রতন, ধর্ম>ধরম, স্বপ্ন>স্বপন, হর্ষ>হরষ ইত্যাদি। ই : প্রীতি>পিরীতি, ক্লিপ>কিলিপ, ফিল্ম>ফিলিম ইত্যাদি। উ : মুক্তা>মুকুতা, তুর্ক>তুরুক, ভ্রু>ভুরু ইত্যাদি। এ : গ্রাম>গেরাম, প্রেক>পেরেক, স্রেফ>সেরেফ ইত্যাদি। ও : শ্লোক>শোলোক, মুরগ>মুরোগ>মোরগ ইত্যাদি। গ) অন্ত্যস্বরাগম / Apothesis : কোনো কোনো সময় শব্দের শেষে অতিরিক্ত স্বরধ্বনি আসে। এরূপ স্বরাগমকে বলা হয় অন্ত্যস্বরাগম। যেমন : দিশ >দিশা, পোখত্ >পোক্ত, বেঞ্চ >বেঞ্চি, সত্য>সত্যি ইত্যাদি।

ক) ধ্বনিসংযুক্তি
খ) স্বরভক্তি
গ) আদি স্বরাগম
ঘ) বিপ্রকর্ষ
Note : 'Prothesis' একটি ভাষাতাত্ত্বিক পরিভাষা, যার অর্থ শব্দের শুরুতে কোনো ধ্বনি (সাধারণত স্বরধ্বনি) যুক্ত হওয়া। বাংলা ব্যাকরণে এই প্রক্রিয়াকে 'আদি স্বরাগম' বলা হয়। যেমন: স্কুল > ইস্কুল, স্টেশন > ই স্টেশন।
ক) স্বরসঙ্গতি
খ) স্বরভক্তি
গ) ধ্বনি বিপর্যয়
ঘ) স্বরলোপ
Note : এখানে আগের স্বর 'ই'-এর প্রভাবে পরের স্বর 'আ' পরিবর্তিত হয়ে 'এ'-তে পরিণত হয়েছে (মিঠা > মিঠে)। যেহেতু আগের স্বরের প্রভাবে পরিবর্তন হয়েছে, তাই এটি স্বরসঙ্গতির উদাহরণ।
ক) আজি > আইজ
খ) পিশাচ > পিচাশ
গ) পাকা > পাক্কা
ঘ) স্কুল > ইস্কুল
Note : ধ্বনি বিপর্যয় হলো দুটি ব্যঞ্জনের স্থান পরিবর্তন। 'পিশাচ' শব্দে 'শ' ও 'চ' ব্যঞ্জনদুটি স্থান পরিবর্তন করে 'পিচাশ' শব্দটি তৈরি করেছে ।
ক) অভিকর্ষ
খ) অভিশ্রুতি
গ) ক্ষীণায়ন
ঘ) বিপ্রকর্ষ
Note : বর্গের দ্বিতীয় ও চতুর্থ ধ্বনি হলো মহাপ্রাণ (যেমন: খ, ঘ, ছ, ঝ) এবং প্রথম ও তৃতীয় ধ্বনি হলো অল্পপ্রাণ (যেমন: ক, গ, চ, জ)। যখন কোনো মহাপ্রাণ ধ্বনি দুর্বল হয়ে অল্পপ্রাণ ধ্বনিতে পরিণত হয়, তখন তাকে 'ক্ষীণায়ন' বলে। যেমন: দুধ > দুদ, মাথা > মাতা।

জব সলুশন

ডিজিএফআই - নিরাপত্তা পরিদর্শক (এসআই) (13-12-2025)

গণপূর্ত অধিদপ্তর - অফিস সহায়ক (13-12-2025)

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) - কাস্টমার সার্ভিস এটেনডেন্ট (12-12-2025)

গণপূর্ত অধিদপ্তর - হিসাব সহকারী_অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক (12-12-2025)

সমন্বিত ৯ ব্যাংক ২ আর্থিক প্রতিষ্ঠান - সিনিয়র অফিসার (05-12-2025)

খাদ্য অধিদপ্তর - সহকারী উপ-খাদ্য পরিদর্শক (29-11-2025)

Job Solution Live Exam Recent Job Solution 2025

আমাদের মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন

যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গা থেকে শিখুন