সুলতান-ই-আজম উপাধি কে লাভ করেছিল?
ক) কুতুবউদ্দিন আইবেক
খ) শামসউদ্দিন ইলতুৎমিশ
গ) ফিরোজ শাহ তুগলক
ঘ) আলাউদ্দিন খলজি
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
১২২৯ খ্রিস্টাব্দে বাগদাদের আব্বাসীয় খলিফা আল-মুনতাসির বিল্লাহ ইলতুৎমিশকে 'সুলতান-ই-আজম' বা 'মহান সুলতান' উপাধি দিয়ে তার শাসনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেন। এই স্বীকৃতি দিল্লি সালতানাতের সার্বভৌমত্বকে ইসলামি বিশ্বে বৈধতা দিয়েছিল।
Related Questions
ক) কুতুবউদ্দিন আইবেক
খ) শামসউদ্দিন ইলতুৎমিশ
গ) গিয়াসউদ্দিন বলবন
ঘ) আলাউদ্দিন খলজি
Note : কুতুবউদ্দিন আইবেক সালতানাত প্রতিষ্ঠা করলেও নানা বিদ্রোহ দমন সুসংহত করার আগেই মৃত্যুবরণ করেন। তার ইলতুৎমিশ মোঙ্গল আক্রমণ প্রতিহত করে, মুদ্রাব্যবস্থা চালু করে এবং রাজধানী দিল্লিকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে সালতানাতকে একটি দৃঢ় ও স্থায়ী রূপ দেন। একারণে ইলতুৎমিশকে 'দিল্লি সালতানাতের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা' বলা হয়।
ক) মুহম্মদ বিন কাসিম
খ) কুতুবউদ্দিন আইবেক
গ) ইলতুৎমিশ
ঘ) গিয়াসউদ্দিন বলবন
Note : মুহম্মদ ঘুরীর মৃত্যুর পর তার সেনাপতি এবং কুতুবউদ্দিন আইবেক ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে নিজেকে দিল্লির স্বাধীন সুলতান হিসেবে ঘোষণা করেন। এর মাধ্যমে তিনি মামলুক বা দাস বংশের সূচনা করেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে 'দিল্লি সালতানাত' প্রতিষ্ঠা করেন। তাই তাকেই দিল্লি সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়।
ক) মুহম্মদ বিন কাসিম
খ) মাহমুদ গজনী
গ) মুহম্মদ ঘুরী
ঘ) কুতুবউদ্দিন আইবেক
Note : ভারতে মুসলিম শাসনের 'স্থায়ী' প্রতিষ্ঠা বলতে সেই শাসনকে বোঝানো হয় যা একটি দীর্ঘস্থায়ী সাম্রাজ্যের সূচনা করে। মুহম্মদ ঘুরী তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে জয়ের মাধ্যমে উত্তর ভারতে তুর্কি শাসনের ভিত্তি স্থাপন করেন এবং তার প্রতিনিধি হিসেবে কুতুবউদ্দিন আইবেককে নিযুক্ত করেন। এই বিজয়ই ভারতে একটি স্থায়ী মুসলিম শাসনের পথ তৈরি করে, যা দিল্লি সালতানাত হিসেবে পরিচিতি পায়।
ক) মুহম্মদ বিন কাসিম
খ) সুলতান মাহমুদ
গ) মুহম্মদ ঘুরী
ঘ) গিয়াস উদ্দিন আজম শাহ
Note : যদিও মুহম্মদ বিন কাসিম ৭১২ খ্রিস্টাব্দে সিন্ধু জয় করেন, কিন্তু তার শাসন সিন্ধুতেই সীমাবদ্ধ ছিল এবং তা স্থায়ী হয়নি। মুহম্মদ ঘুরী ১১৯২ খ্রিস্টাব্দে তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে পৃথ্বীরাজ চৌহানকে পরাজিত করে দিল্লিতে মুসলিম শাসনের ভিত্তি স্থাপন করেন, যা পরবর্তীতে দিল্লি সালতানাতে রূপ নেয়। তাই তাকেই ভারতে মুসলিম শাসনের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে গণ্য করা হয়।
ক) কুতুবউদ্দিন আইবক
খ) শামসুদ্দিন ইলতুতমিশ
গ) গিয়াসউদ্দিন বলবন
ঘ) মুহম্মদ বিন তুগলক
Note :
রাজিয়া ছিলেন দিল্লির মামলুক সুলতানিতের প্রথম এবং একমাত্র নারী শাসক।
- আরবিতে তাকে ডাকা হত রাদিয়া নামে।
- তিনি ১২৩৬ থেকে ১২৪০ সাল পর্যন্ত প্রায় চার বছর রাজত্ব করেছিলেন।
- সে সময় মুসলিম বিশ্ব এবং খ্রিস্টান ইউরোপ উভয় ক্ষেত্রেই খুব কম রাজ্যেই নারী শাসক ছিল।
সুলতান রাজিয়া ছিলেন শামসুদ্দিন ইলতুতমিশের কন্যা। তিনি দিল্লির সিংহাসনে আরোহনকারী প্রথম মুসলমান। তার বাবা দিল্লি সালতানাতের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা।
ক) সম্রাট আকবর
খ) মুহম্মদ বিন তুগলক
গ) সম্রাট জাহাঙ্গীর
ঘ) সুলতান ইলিয়াস শাহ
Note : সুলতান মুহম্মদ বিন তুগলক (১৩২৫-১৩৫১) তার খামখেয়ালি পরিকল্পনার জন্য পরিচিত। তিনি ১৩২৭ খ্রিস্টাব্দে দিল্লি থেকে রাজধানী দক্ষিণ ভারতের দেবগিরিতে (যার নতুন নাম দেন দৌলতাবাদ) স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সমগ্র ভারতকে ভালোভাবে শাসন করা এবং মোঙ্গল আক্রমণ থেকে রাজধানীকে সুরক্ষিত রাখা, কিন্তু এই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।
জব সলুশন