নিপাতনে সিদ্ধ স্বরসন্ধির দৃষ্টান্ত কোনটি?
ক) গো + অক্ষ = গবাক্ষ
খ) পৌ + অক = পাবক
গ) বি + অঙ্গ = বঙ্গ
ঘ) যতি + ইন্দ্র = যতিন্দ্র
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
যে সন্ধি কোনো নিয়ম মানে না, তাকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলে। 'গো + অক্ষ = গবাক্ষ' স্বরসন্ধির কোনো সাধারণ নিয়ম (ও+অ=অব) মানে না, তাই এটি নিপাতনে সিদ্ধ।
Related Questions
ক) দুইটি
খ) তিনটি
গ) পাঁচটি
ঘ) চারটি
Note : বাংলা ভাষার প্রধান দুইটি রীতি বা রূপ রয়েছে: সাধু রীতি (লিখিত রূপ) এবং চলিত রীতি (কথ্য ও লিখিত উভয় রূপ)।
ক) তখন গভীর ছায়া নেমে আসে সর্বত্র
খ) তখন গভীর ছায়া নামিয়া আসিল সবখানে
গ) তখন গভীর ছায়া নামিয়া আসে সর্বত্র
ঘ) তখন গভীর ছায়ায় সর্বত্র ঢেকে গিয়াছে
Note : নামিয়া আসিল' (অসমাপিকা + সমাপিকা ক্রিয়া) সাধু রীতির একটি পূর্ণাঙ্গ ক্রিয়ার রূপ। চলিত রীতিতে এটি 'নেমে এল' হতো। তাই এই বাক্যটি সাধু রীতির উদাহরণ।
ক) ঠ
খ) ম
গ) ন
ঘ) ণ
Note : প্রশ্নটি বাংলা স্পর্শবর্ণের পঞ্চম বর্ণের (নাসিক্য) ক্রম দেখাচ্ছে: ঙ (ক-বর্গ), ঞ (চ-বর্গ), ণ (ট-বর্গ), ন (ত-বর্গ), ম (প-বর্গ)। সুতরাং, 'ণ'-এর পরের অক্ষরটি হবে 'ন' ও তার পরেরটি 'ম'।
ক) অহ + রহঃ
খ) অহ + অঃহ
গ) অহঃ + অহ
ঘ) অহঃ + রহ
Note : বিসর্গ সন্ধির একটি নিয়ম। এখানে, অহঃ + অহ = অহরহ।
ক) রত্ন > রতন
খ) স্ত্রী > ইস্ত্রী
গ) গ্রাম > গেরাম
ঘ) স্নেহ > সিনেহ
Note : শব্দের শুরুতে যুক্তব্যঞ্জন থাকলে উচ্চারণের সুবিধার জন্য তার আগে একটি স্বরধ্বনি এলে তাকে আদি স্বরাগম বলে। যেমন: স্কুল > ইস্কুল, স্টেশন > ইস্টেশন, স্ত্রী > ইস্ত্রী।
ক) ম্ + ন
খ) ষ্ + ণ
গ) ষ্ + ঞ
ঘ) ম্ + ঙ
Note : উষ্ণ' শব্দের 'ষ্ণ' যুক্তবর্ণটি গঠিত হয়েছে 'ষ্' এবং 'ণ' এর সমন্বয়ে। যেমন: কৃষ্ণ, তৃষ্ণা।
জব সলুশন