নীল লোহিত' কোন লেখকের ছদ্মনাম?
“নীল লোহিত” সনাতন পাঠক ছদ্মনামে পরিচিত সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় । কালকূট ও পরশুরাম ছদ্মনামে খ্যাত যথাক্রমে - সমরেশ বসু ও রাজশেখর বসু। সমর সেনের উপাধি নাগরিক কবি ।
Related Questions
-কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯০৮ - ১৯৫৬) শরৎচন্দ্র ও কল্লোল গোষ্ঠীর লেখকদের পর বাংলা সাহিত্যে
বস্তুতান্ত্রিকতা ও মনোবিশ্লেষণ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় সাহিত্যে সবচেয়ে বেশি প্রতিফলিত হয়।
তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস:
- পদ্মানদীর মাঝি (১৯৩৬),
- আরোগ্য (১৯৫৩),
- পুতুলনাচের ইতিকথা (১৯৩৬),
- শহরতলী (১৯৪০-৪১),
- চিহ্ন (১৯৪৭),
- চতুষ্কোণ (১৯৪৮),
- জননী (১৯৩৫),
- দিবারাত্রির কাব্য (১৯৩৫),
- সার্বজনীন (১৯৫২) প্রভৃতি
ছোটগল্পঃ
- সমুদ্রের স্বাদ (১৯৪৩), হলুদ পোড়া (১৯৪৫),
- আজ কাল পরশুর গল্প (১৯৪৬),
- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প (১৯৫০),
- প্রাগৈতিহাসিক (১৯৩৭), সরীসৃপ (১৯৩৯),
- ফেরিওয়ালা (১৯৫৩) ইত্যাদি।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯ মে, ১৯০৮ - ৩ ডিসেম্বর, ১৯৫৬) ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক। তার প্রকৃত নাম প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবী জুড়ে মানবিক মূল্যবোধের চরম সংকটময় মুহূর্তে বাংলা কথা - সাহিত্যে যে কয়েকজন লেখকের হাতে সাহিত্যজগতে নতুন এক বৈপ্লবিক ধারা সূচিত হয় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। তার রচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল মধ্যবিত্ত সমাজের কৃত্রিমতা, শ্রমজীবী মানুষের সংগ্রাম, নিয়তিবাদ ইত্যাদি। ফ্রয়েডীয় মনঃসমীক্ষণ ও মার্কসীয় শ্রেণীসংগ্রাম তত্ত্ব দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন যা তার রচনায় ফুটে উঠেছে। জীবনের অতি ক্ষুদ্র পরিসরে তিনি রচনা করেন চল্লিশটি উপন্যাস ও তিনশত ছোটোগল্প। তার রচিত পুতুলনাচের ইতিকথা, দিবারাত্রির কাব্য, পদ্মা নদীর মাঝি ইত্যাদি উপন্যাস ও অতসীমামী, প্রাগৈতিহাসিক, ছোটবকুলপুরের যাত্রী ইত্যাদি গল্পসংকলন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ বলে বিবেচিত হয়। ইংরেজি ছাড়াও তার রচনাসমূহ বহু বিদেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩ ডিসেম্বর, মাত্র আটচল্লিশ বছর বয়সে বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শক্তিশালী এই কথাসাহিত্যিকের জীবনাবসান ঘটে।
কাজী ইমদাদুল হকের অবদুল্লাহ উপন্যাসের উপজীব্য- তৎকালীন মুসলিম মধ্যবিত্ত সমাজের চিত্র। উপন্যাসটি ১৯৩২ সালে প্রকাশিত হুয়। তাঁর রচিত অন্যান্য উপন্যাস-
-আঁখিজল (১৯০০)
-মোসলেম জগতে বিজ্ঞান চর্চা (১৯০৪)
-ভূগোল শিক্ষা প্রণালী (দু'খণ্ড, ১৯১৩, ১৯১৬)
-নবীকাহিনী (১৯১৭)
-প্রবন্ধমালা (১৯১৮)
-কামারের কাণ্ড (১৯১৯) ইত্যাদি।
বাংলা সাহিত্যের সার্থক উপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত 'কৃষ্ণকান্তের উইল' উপন্যাস । এই উপন্যাসে বিধবা নারী রোহিণী স্বীয় ব্যর্থ জীবনের হাহাকারের জন্য আত্মহত্যা করতে চাই । রোহিণীকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক সমস্যার রূপায়ণ এই উপন্যাসের মূল সুর । এটি একটি সামাজিক উপন্যাস । চরিত্র : গোবিন্দলাল, রোহিণী ।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিক্ষার শ্রেষ্ঠ ফসল তাঁর পুতুল নাচের ইতিকথা উপন্যাস। এই উপন্যাসের কেন্দ্রে রয়েছে গাওদিয়া গ্রাম। সেখান থেকে খাল পথে বাজিতপুর যাতায়ত চলে। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র শশী ডাক্তার। উপন্যাসের কাহিনী শুরু হয়েছে হারু ঘোষকে দিয়ে। আদরের মেয়ে মতির জন্য সে পাত্র দেখতে গিয়েছিল।
আরণ্যক বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৪-১৯৫০) রচিত চতুর্থ উপন্যাস।
বুদ্ধদেব বসু একধারে কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, অনুবাদক, সমলোচক ও সম্পাদজ ছিলেন। তার বিখ্যাত উপন্যাসগুলো হচ্ছে - সাড়া, সানন্দা, তিথিডোর, রাতভর বৃষ্টি, নির্জন স্বাক্ষর ইত্যাদি। ‘আরণ্যক’ উপন্যাসটি রচনা করেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আরো কয়েকটি উল্লাখযোগ্য উপন্যাস হচ্ছে - পথের পাচালী, অপরাজিত, দৃষ্টি প্রদীপ ইত্যাদি। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত গ্রন্থ হচ্ছে - আরোগ্য নিকেতন, সঞ্জীবন ফার্মাসি, গণসেবতা, পঞ্চগ্রাম, হাসুলী বাকের উপকথা, কবি, ধাত্রীদেবতা, ইত্যাদি। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস হচ্ছে - জননি পদ্মনদীর মাঝি, পুতুল নাচের ইতিকথা। বিখ্যাত গল্প - গ্রন্থ হচ্ছে - অতসি মামি ও অন্যান্য গল্প, প্রাগৈতিহাসিক, আজকাল প্রশুর গল্প ইত্যাদি।
জব সলুশন