কাজী ইমদাদুল হক-এর ' আবদুল্লাহ' উপন্যাসের উপজীব্য কি?
কাজী ইমদাদুল হকের অবদুল্লাহ উপন্যাসের উপজীব্য- তৎকালীন মুসলিম মধ্যবিত্ত সমাজের চিত্র। উপন্যাসটি ১৯৩২ সালে প্রকাশিত হুয়। তাঁর রচিত অন্যান্য উপন্যাস-
-আঁখিজল (১৯০০)
-মোসলেম জগতে বিজ্ঞান চর্চা (১৯০৪)
-ভূগোল শিক্ষা প্রণালী (দু'খণ্ড, ১৯১৩, ১৯১৬)
-নবীকাহিনী (১৯১৭)
-প্রবন্ধমালা (১৯১৮)
-কামারের কাণ্ড (১৯১৯) ইত্যাদি।
Related Questions
বাংলা সাহিত্যের সার্থক উপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত 'কৃষ্ণকান্তের উইল' উপন্যাস । এই উপন্যাসে বিধবা নারী রোহিণী স্বীয় ব্যর্থ জীবনের হাহাকারের জন্য আত্মহত্যা করতে চাই । রোহিণীকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক সমস্যার রূপায়ণ এই উপন্যাসের মূল সুর । এটি একটি সামাজিক উপন্যাস । চরিত্র : গোবিন্দলাল, রোহিণী ।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিক্ষার শ্রেষ্ঠ ফসল তাঁর পুতুল নাচের ইতিকথা উপন্যাস। এই উপন্যাসের কেন্দ্রে রয়েছে গাওদিয়া গ্রাম। সেখান থেকে খাল পথে বাজিতপুর যাতায়ত চলে। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র শশী ডাক্তার। উপন্যাসের কাহিনী শুরু হয়েছে হারু ঘোষকে দিয়ে। আদরের মেয়ে মতির জন্য সে পাত্র দেখতে গিয়েছিল।
আরণ্যক বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৪-১৯৫০) রচিত চতুর্থ উপন্যাস।
বুদ্ধদেব বসু একধারে কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, অনুবাদক, সমলোচক ও সম্পাদজ ছিলেন। তার বিখ্যাত উপন্যাসগুলো হচ্ছে - সাড়া, সানন্দা, তিথিডোর, রাতভর বৃষ্টি, নির্জন স্বাক্ষর ইত্যাদি। ‘আরণ্যক’ উপন্যাসটি রচনা করেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আরো কয়েকটি উল্লাখযোগ্য উপন্যাস হচ্ছে - পথের পাচালী, অপরাজিত, দৃষ্টি প্রদীপ ইত্যাদি। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত গ্রন্থ হচ্ছে - আরোগ্য নিকেতন, সঞ্জীবন ফার্মাসি, গণসেবতা, পঞ্চগ্রাম, হাসুলী বাকের উপকথা, কবি, ধাত্রীদেবতা, ইত্যাদি। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস হচ্ছে - জননি পদ্মনদীর মাঝি, পুতুল নাচের ইতিকথা। বিখ্যাত গল্প - গ্রন্থ হচ্ছে - অতসি মামি ও অন্যান্য গল্প, প্রাগৈতিহাসিক, আজকাল প্রশুর গল্প ইত্যাদি।
”অপরাজিত” উপন্যাসের লেখক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
অপরাজিত বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত দ্বিতীয় উপন্যাস। ‘প্রবাসী’ মাসিকপত্রে ১৩৩৬ সালের পৌষ সংখ্যা থেকে ১৩৩৮ - এর আশ্বিন সংখ্যা পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। উপন্যাসের স্ফীতির কারণে দু খণ্ডে বিভক্ত হয়ে প্রথম বের হয়ঃ প্রথম ভাগের প্রকাশকাল মাঘ ১৩৩৮ [এপ্রিল ১৯৩২], দ্বিতীয় ভাগের প্রকাশকাল ফাল্গুন ১৩৩৮ [মে ১৯৩২]। এবারেও প্রকাশক ছিলেন সজনীকান্ত দাস, বের করা হয়েছিল রঞ্জন প্রকাশালয় থেকে এবং দাম ছিল যথাক্রমে দু টাকা চার আনা ও দু টাকা। পরে ‘অপরাজিত’ দু খণ্ডের জায়গায় এক খণ্ডে মুদ্রিত হয়, এখনও তাই হচ্ছে। বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় এ উপন্যাসটি উৎসর্গ করেছিলেন ‘মাতৃদেবীকে’।
পদ্মানদীর মাঝি উপন্যাসের পটভূমি বাংলাদেশের বিক্রমপুর - ফরিদপুর অঞ্চল। এই উপন্যাসের দেবীগঞ্জ ও আমিনবাড়ি পদ্মার তীরবর্তী গ্রাম। উপন্যাসে পদ্মার তীর সংলগ্ন কেতুপুর ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের পদ্মার মাঝি ও জেলেদের বিশ্বস্ত জীবনালেখ্য চিত্রিত হয়েছে। পদ্মা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান নদী। এর ভাঙন প্রবণতা ও প্রলয়ংকরী স্বভাবের কারণে একে বলা হয় 'কীর্তিনাশা' বা রাক্ষুসী পদ্মা। এ নদীর তীরের নির্দিষ্ট কোন সীমারেখা নেই। শহর থেকে দূরে এ নদী এলাকার কয়েকটি গ্রামের দীন - দরিদ্র জেলে ও মাঝিদের জীবনচিত্র এতে অঙ্কিত হয়েছে। জেলেপাড়ারর মাঝি ও জেলেদের জীবনের সুখ - দুঃখ, হাসি - কান্না - অভাব - অভিযোগ - যা কিনা প্রকৃতিগতভাবে সেই জীবনধারায় অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ তা এখানে বিশ্বস্ততার সাথে চিত্রিত হয়েছে। তাদের প্রতিটি দিন কাটে দীনহীন অসহায় আর ক্ষুধা - দারিদ্র্যের সাথে লড়াই করে। দুবেলা দুমুঠো খেয়ে - পরে বেঁচে থাকাটাই যেন তাদের জীবনের পরম আরাধ্য। এটুকু পেলেই তারা খুশি।
পথের পাঁচালী - উপন্যাসের রচয়িতা বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়। বাংলার গ্রামে দুই ভাইবোন অপু ও দুর্গার বেড়ে ওঠা নিয়েই বিখ্যাত এই উপন্যাস। এই উপন্যাসের ছোটদের জন্য সংস্করণের নাম - আম আঁটির ভেঁপু। পরবর্তীকালে বিখ্যাত বাঙালি পরিচালক সত্যজিৎ রায় এই উপন্যাস অবলম্বনে পথের পাঁচালী চলচ্চিত্র নির্মণ করেন যা পৃথিবী বিখ্যাত হয়।
জব সলুশন