মুসলমান কবি রচিত প্রাচীনতম বাংলা কাব্য—

ক) ইউসুফ জুলেখা
খ) রাসুল বিজয়
গ) নুরনামা
ঘ) শবে মেরাজ
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:

বাংলা ভাষায় প্রথম মুসলমান কবির নাম শাহ্‌ মুহম্মদ সগীর। শাহ্‌ মুহম্মদ সগীর ১৫ শতকে ''ইউসুফ- জুলেখা'' কাব্য রচনা করেন। মুসলমান কবি রচিত প্রাচীনতম বাংলা কাব্য ''ইউসুফ- জুলেখা'।

Related Questions

ক) নাটক
খ) ছোটগল্প
গ) প্রবন্ধ
ঘ) গীতিকবিতা
Note :

গীতি কাব্য একজন কবির একান্ত ব্যক্তি-অনুভূতির সহজ, সাবলীল গতি ও ভঙ্গীমায় সঙ্গীত-মুখর জীবনের আত্ম-প্রতিফলন। এটি গীতি কবিতা নামেই সাহিত্যামোদী ব্যক্তিবর্গের কাছে সমধিক পরিচিত। বীণাযন্ত্র সহযোগে এই শ্রেণীর সঙ্গীত-কবিতা গীত হতো বলে এটি লিরিক বা গীতকবিতা নামে চিহ্নিত।

ক) অমাবস্যার চাঁদ; আকাশ কুসুম
খ) বক ধার্মিক; বিড়াল তপস্বী
গ) রুই-কাতলা; কেউ কেটা
ঘ) বক ধার্মিক; ভিজে বেড়াল
Note :

বকধার্মিক এবং বিড়াল তপস্বী অর্থ ভন্ড

ক) ঠগী
খ) পানাস
গ) পাঠক
ঘ) সেলামী
Note :

√পঠ ধাতুর সাথে সংস্কৃত কৃৎ এর ‘ণক’ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে পাঠক (√পঠ+ণক = √পঠ+অক) শব্দটি গঠিত।

তদ্ধিত প্রত্যয় গঠিত শব্দ:
- ঠগ্+ঈ = ঠগী;
- পানি-পানসা > পানসে;
- সেলাম+ঈ (ই) = সেলামী (সেলামি)।

ক) রাম বসু এবং ভোলা ময়রা
খ) এন্টনী ফিরিঙ্গি এবং রামপ্রসাদ রায়
গ) সাবিরিদ খান এবং দশরথী রায়
ঘ) আলাওল এবং ভারতচন্দ্র
Note :

আঠারো শতকের শেষ ও উনিশ শতকের শুরুর দিকে বাংলা সাহিত্যে কবিগান রচয়িতাদের আবির্ভাব ঘটে।
উল্লেখযোগ্য কবিগান রচয়িতাঃ
- গোঁজলা গুই (প্রাচীন কবি)
- রাম বসু,
- হরু ঠাকুর
- রামনিধি গুপ্ত
- কেষ্টা মুচী
- ভবানী
- নৃসিংহ
- ভোলা ময়রা
- অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি
- রামানন্দ নন্দী

- রাম বসু, ভোলা ময়রা ও এন্টনি ফিরিঙ্গি' - কবিগান রচয়িতা ও গায়ক ছিলেন। কিন্তু 'রামপ্রসাদ রায়' নামে কোনো কবিওয়ালার সন্ধান পাওয়া যায় নি।
- উল্লেখযোগ্য কবিগানের ধরন - তর্জা, পাঁচালি, বসা কবিগান, ঢপ, টপ্পা, কীর্তন, খেউড়, আখড়াই ইত্যাদি।

ক) অউক্ত
খ) অব্যক্ত
গ) অনুক্ত
ঘ) ব্যক্ত
Note :

যা বলার যোগ্য নয় - অকথ্য

যা বলা হয় নি - অনুক্ত

তাই সঠিকঠিক উত্তর - অনুক্ত।

ক) মধ্যযুগীয় কাব্যের হস্তলিখিত পাণ্ডুলিপি
খ) বটতলা নামক স্থানে রচিত কাব্য
গ) দোভাষী বাংলা রচিত পুঁথি সাহিত্য
ঘ) অবিমিশ্র দেশজ বাংলায় রচিত লোকসাহিত্য
Note :

পুথি সাহিত্য আরবি, উর্দু, ফারসি ও হিন্দি ভাষার মিশ্রণে রচিত এক বিশেষ শ্রেণীর বাংলা সাহিত্য। আঠারো থেকে উনিশ শতক পর্যন্ত এর ব্যাপ্তিকাল। এ সাহিত্যের রচয়িতা এবং পাঠক উভয়ই ছিল মুসলমান সম্প্রদায়। পুথি (বা পুঁথি) শব্দের উৎপত্তি ‘পুস্তিকা’ শব্দ থেকে। এ অর্থে পুথি শব্দদ্বারা যেকোনো গ্রন্থকে বোঝালেও পুথি সাহিত্যের ক্ষেত্রে তা বিশেষ অর্থ বহন করে। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে একটি বিশেষ সময়ে রচিত বিশেষ ধরণের সাহিত্যই পুথি সাহিত্য নামে পরিচিত। হুগলির বালিয়া - হাফেজপুরের কবি ফকির গরীবুল্লাহ (আনু. ১৬৮০ - ১৭৭০) আমীর হামজা রচনা করে এ কাব্যধারার সূত্রপাত করেন। আরবদেশের ইতিহাস - পুরাণ মিশ্রিত কাহিনী অবলম্বনে রচিত আমীর হামজা জঙ্গনামা বা যুদ্ধ বিষয়ক কাব্য। মধ্যযুগে প্রায় পাঁচশ বছর ধরে বাংলা ভাষার যে ঐতিহ্য তৈরি হয়েছিল, তার সঙ্গে এ কাব্যের ভাষার মিল নেই। বাংলা শব্দের সঙ্গে আরবি, ফারসি প্রভৃতি শব্দের মিশ্রণজাত একটি ভিন্ন ভাষায় কাব্যটি রচিত। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় এ কাব্যে ৩২% বিদেশি শব্দের পরিসংখ্যান দিয়েছেন। হুগলি, হাওড়া, কলকাতা, ২৪ পরগনা প্রভৃতি অঞ্চলের মুসলমানদের কথ্যভাষা এর উৎস ছিল বলে মনে করা হয়। গরীবুল্লাহ নিজে এবং তাঁর শিষ্য সৈয়দ হামজা এ ভাষায় আরও কয়েকখানি কাব্য রচনা করেন। তাঁদের অনুসরণে পরবর্তীকালে বহু সংখ্যক মুসলমান কবি এ জাতীয় কাব্য রচনা করেন। এগুলির পাঠক ছিল সর্বস্তরের মুসলমান; তবে নিম্নবিত্তের চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও শ্রমজীবী মানুষের কাছে এর জনপ্রিয়তা ছিল সর্বাধিক। পুথি সাহিত্যের শব্দসম্ভার ও ভাষারীতি লক্ষ করে বিভিন্ন জন এর বিভিন্ন নামকরণ করেছেন। রেভারেন্ড জেমস লং এ ভাষাকে বলেছেন ‘মুসলমানী বাংলা’, আর এ ভাষায় রচিত সাহিত্যকে বলেছেন ‘মুসলমানী বাংলা সাহিত্য’। কলকাতার বটতলার ছাপাখানার বদৌলতে প্রচার লাভ করে বলে এগুলি ‘বটতলার পুথি’ নামেও পরিচিত হয়। গবেষকগণ ভাষা - বৈশিষ্ট্য ও বাক্যরীতির দিক থেকে বিচার করে প্রথমে এগুলিকে দোভাষী পুথি এবং পরবর্তীকালে ‘মিশ্র ভাষারীতির কাব্য’ বলে অভিহিত করেন। দোভাষী পুথিকারদের সাধারণভাবে ‘শায়ের’ বলা হয়। ‘শায়ের’ আরবি শব্দ, অর্থ কবি। সৈয়দ হামজা আমীর হামজা গ্রন্থের শুরুতে ‘শায়েরি পুঁথি’ বলে স্বীয় কাব্যের পরিচয় দিয়েছেন। এদিক থেকে নামকরণের জটিলতা এড়ানোর জন্য ‘শায়েরি পুঁথি’ অভিধাটি গ্রহণ করা যায়। সাধারণ বাংলা গ্রন্থের মতো পুথি সাহিত্য বাম দিক থেকে পড়া হলেও তা ছাপা হতো আরবি - ফারসির মতো ডান দিক থেকে। পয়ার - ত্রিপদী ছন্দে রচিত অলঙ্কারবর্জিত গদ্যধর্মী সরল ভাষা এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

জব সলুশন

ডিজিএফআই - নিরাপত্তা পরিদর্শক (এসআই) (13-12-2025)

গণপূর্ত অধিদপ্তর - অফিস সহায়ক (13-12-2025)

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) - কাস্টমার সার্ভিস এটেনডেন্ট (12-12-2025)

গণপূর্ত অধিদপ্তর - হিসাব সহকারী_অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক (12-12-2025)

সমন্বিত ৯ ব্যাংক ২ আর্থিক প্রতিষ্ঠান - সিনিয়র অফিসার (05-12-2025)

খাদ্য অধিদপ্তর - সহকারী উপ-খাদ্য পরিদর্শক (29-11-2025)

Job Solution Live Exam Recent Job Solution 2025

আমাদের মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন

যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গা থেকে শিখুন