বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রাচীনতম মুসলমান কবি—
বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলমান কবি শাহ মুদম্মদ সগীর । তার রচিত একটি রোমান্টিক প্রণয়োখ্যান 'ইউসুফ-জোলেখা' । গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের রাজত্বকালে (১৩৯৩-১৪০৯) এ কাব্য রচনা করেন । পরবর্তীতে মধ্যযুগের আরো অনেক কবি ইউসুফ-জোলেখা নাম দিয়ে কাব্য রচনা করেছেন ।
Related Questions
সঠিক বানান - পাষাণ। যার মানে নিষ্ঠুর, দয়ামায়াহীন।
বিভিন্ন বিদেশি ভাষার সঙ্গে সঙ্গে সে সব ভাষার কিছু কিছু উপসর্গও বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে। এই সব বিদেশি ভাষার উপসর্গগুলোই বিদেশি উপসর্গ।
- বাংলা ভাষায় বহু বিদেশি উপসর্গ রয়েছে। যেমন—বে, বর, বদ, ফি, গর, নিম, দর, কাম ইত্যাদি।
- প্রয়োগ: বে—বেয়াদব, বেসামাল। বদ—বদলোক, বদনাম।
- বাংলা ভাষায় বিদেশি উপসর্গগুলো সাধারণত আরবি, ফারসি, হিন্দি, উওর্দু ও ইংরেজি থেকে এসেছে।
সঠিক বাক্য: বিদ্বান ব্যক্তিগণ দরিদ্রতার স্বীকার হন।
বাক্যটি সঠিক কারণ, বাক্যটিতে সাধু রীতি ও চলিত রীতি বা তৎসম ও বাংলা শব্দের মিশ্রণ নেই অর্থাৎ গুরুচণ্ডালী দোষ মুক্ত। আবার, বাক্যে সঠিক বিশেষ্য পদ "দরিদ্রতা" ব্যবহার করা হয়েছে।
জন্ম ও পরিবার ১৮২৭ সালে মাতুলালয়, বাকুলিয়া গ্রাম, বর্ধমানে জন্ম। তার আদি নিবাস বর্তমান হুগলি জেলার বাকুলিয়া। তার পিতার নাম রামনারায়ণ। পিতা মারা যাবার পড়ে মাতুলালয়ে লালিত - পালিত হন। শিক্ষাজীবন রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় বাকুলিয়ার স্থানীয় পাঠশালা ও মিশনারী স্কুলে শিক্ষাশেষে হুগলি মহসিন কলেজে কিছুদিন পড়াশোনা করেন। ইংরেজি, সংস্কৃত এবং প্রাচীন ওড়িয়া কাব্য ও সাহিত্যে তার জ্ঞান ছিল। কর্মজীবন কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের সাহায্যে সংবাদ প্রভাকর পত্রিকায় তিনি সাহিত্য রচনা আরম্ভ করেন। ১৮৫৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত এডুকেশন গেজেট পত্রিকার সহঃ - সম্পাদক ছিলেন। সেই সময়ের এডুকেশন গেজেটে তার গদ্য এবং পদ্য দুই রকম রচনাই প্রকাশিত হত। ১৮৫২ সালে প্রকাশিত 'মাসিক সংবাদসাগর' ও ১৮৫৬ সালে প্রকাশিত সাপ্তাহিক 'বার্তাবহ' পত্রিকা দুটোতে তিনি সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে ৬ মাস অধ্যাপনা করবার পর আয়কর অ্যাসেসর এবং ডেপুটি কালেক্টর হন। তারপর ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হয়ে সুনামের সাথে চাকরি করে ১১ এপ্রিল ১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দে অবসর নেন। রচনাসমগ্র তিনি মূলত স্বদেশপ্রেমিক কবিরূপে বিখ্যাত। তার রচিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পদ্মিনী উপাখ্যান, কর্মদেবী এবং শূরসুন্দরী। টডের অ্যানাল্স্ অফ রাজস্থান থেকে কাহিনীর অংশ নিয়ে তিনি পদ্মিনী উপাখ্যান রচনা করেন। তার মৃত্যুর পর স্বদেশী যুগের বিপ্লবীদের মধ্যে পদ্মিনী উপাখ্যানের অংশ - “ স্বাধীনতাহীনতায় কে বাঁচিতে চায় দাসত্ব শৃঙ্খল বল কে পরিবে পায় ” খুবই বিখ্যাত ছিল। তিনি ১৮৭২ সালে কালিদাসের সংস্কৃত কুমারসম্ভব ও ঋতুসংহারের পদ্যানুবাদ করেছিলেন। একই বছরে প্রকাশিত নীতিকুসুমাঞ্জলি তার অপর পুস্তিকা, যা সংস্কৃত নীতি ও তত্ত্বমূলক কবিতার অনুবাদ। ১৮৭৯ খ্রিষ্টাব্দে রচিত কাঞ্চী কাবেরী কাব্যগ্রন্থ প্রাচীন ওড়িয়া কাব্যের অনুসরণে লিখিত। রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় 'উৎকল দর্পণ' নামে উড়িয়া ভাষায়ও একটি সংবাদপত্র প্রকাশ করেন। উৎকল দর্পণ নামে সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। 'উৎকল দর্পণ' - এ তিনি উরিষ্যার পুরাতত্ব ও উড়িয়া ভাষা সম্পর্কে অনেক প্রবন্ধ লিখেছিলেন। তার কলিকাতা কল্পলতা গ্রন্থটিই সম্ভবত বাংলা ভাষায় প্রথম কলকাতার পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস। ইংরেজি প্রভাবিত বাংলা সাহিত্যের তিনি অন্যতম পথপ্রদর্শক।
ক্রিয়াপদের মূল অংশকে 'ধাতু' বলা হয়। ক্রিয়া গঠন করতে হলে ধাতুর সাথে বিভক্তি, প্রত্যয় ইত্যাদি যুক্ত হয়। যেমন, 'করছে' ক্রিয়াপদের ধাতু হল 'কর্'।
অপশন ক) বিভক্তি: বিভক্তি হল কারক-প্রকরণ ও ক্রিয়ার কাল নির্ণয়ে ব্যবহৃত বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি যা পদের শেষে যুক্ত হয়। যেমন: 'আমি বই পড়ছি' – এখানে 'ছি' হল ক্রিয়ার বিভক্তি।
অপশন গ) প্রত্যয়: প্রত্যয় হল এক ধরণের বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি যা ধাতুর পরে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করে অথবা ক্রিয়াপদকে বিশেষ রূপ দেয়।
অপশন ঘ) কৃৎ: কৃৎ হল এক প্রকার প্রত্যয় যা ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশেষ্য, বিশেষণ বা ক্রিয়া-বিশেষণ পদ গঠন করে। যেমন: 'কৃৎ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে ' করা ' থেকে ' কাজ ' (বিশেষ্য) তৈরি হয়।
বৈদ্যুতিক পাখা ধীরে ধীরে ঘুরলে বিদ্যুৎ খরচ একই হয়।
বৈদ্যুতিক পাখা ধীরে বা জোরে ঘোরা রেগুলেটর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। রেগুলেটর মাধ্যমে বৈদ্যুতিক পাখা বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। রেগুলেটরি পরিবর্তনশীল রোধ থাকে। তাই পাখা ধীরে ঘুরলেও বিদ্যুৎ খরচ একই হয় কারণ এ সময় রেগুলেটরি বিদ্যুৎ শক্তি তাপ শক্তি হিসেবে অপচয় হয়।
জব সলুশন