সংযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণকে ভেঙ্গে তার মধ্যে স্বরবর্ণ আনয়নকে কি বলে?
ক) স্বরাগম
খ) স্বরভক্তি
গ) স্বরসঙ্গতি
ঘ) অপিনিহিতি
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
উচ্চারণ সহজ করার জন্য যুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনিকে ভেঙে মাঝখানে স্বরধ্বনি স্থাপন করার প্রক্রিয়াকে স্বরভক্তি বা বিপ্রকর্ষ বলে।
Related Questions
ক) স্পর্ধা - আস্পর্ধা
খ) মাছুয়া - মেছো
গ) নিবানো - নিভানো
ঘ) ধোবা - ধোপা
Note : স্পর্ধা শব্দের শুরুতে 'আ' স্বরধ্বনি যুক্ত হয়ে 'আস্পর্ধা' হয়েছে। এটি আদি স্বরাগমের উদাহরণ। অন্য অপশনগুলো ধ্বনি পরিবর্তনের ভিন্ন নিয়ম নির্দেশ করে।
ক) স্নেহ > সিনেহ
খ) রত্ন > রতন
গ) স্ত্রী > ইস্ত্রী
ঘ) গ্রাম > গেরাম
Note : স্ত্রী > ইস্ত্রী উদাহরণটিতে শব্দের শুরুতে 'ই' কার যুক্ত হয়েছে যা আদি স্বরাগম। বাকি উদাহরণগুলো (সিনেহ রতন গেরাম) মধ্য স্বরাগম বা বিপ্রকর্ষের উদাহরণ।
ক) আদি স্বরাগম
খ) বিপ্রকর্ষ
গ) পরাগত
ঘ) অপিনিহিতি
Note : উচ্চারণের সুবিধার জন্য শব্দের শুরুতে 'ই' স্বরধ্বনি যুক্ত হয়েছে (স্কুল > ইস্কুল)। শব্দের আদিতে স্বরধ্বনি আসলে তাকে আদি স্বরাগম বলে।
ক) ধ্বনিসংযুক্তি
খ) স্বরভক্তি
গ) আদি স্বরাগম
ঘ) বিপ্রকর্ষ
Note : ভাষাবিজ্ঞানে শব্দের শুরুতে স্বরধ্বনির আগমনকে Prothesis বলা হয়। এর বাংলা পারিভাষিক শব্দ হলো আদি স্বরাগম।
ক) পীরিতি
খ) বিলিতি
গ) বসতি
ঘ) উড়নি
Note : প্রীতি > পীরিতি। এখানে শব্দের মাঝখানে যুক্তবর্ণ ভেঙে অতিরিক্ত স্বরধ্বনি 'ই' এসেছে। এটি মধ্য স্বরাগম বা বিপ্রকর্ষের উদাহরণ।
ক) অভিশ্রুতি
খ) স্বরাগম
গ) বিপ্রকর্ষ
ঘ) অভিকর্ষ
Note :
সময় সময় উচ্চারণের সুবিধার জন্য সংযুক্ত ব্যঞ্জন ধ্বনির মাঝখানে স্বরধ্বনি আসে। একে বলা হয় মধ্য স্বরাগমা বা বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি।
জব সলুশন