যে রীতিতে 'স্নান' শব্দটি সিনান (স্নান > সিনান) শব্দে পরিণত হয় তার নাম-
ক) অভিশ্রুতি
খ) স্বরাগম
গ) বিপ্রকর্ষ
ঘ) অভিকর্ষ
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
সময় সময় উচ্চারণের সুবিধার জন্য সংযুক্ত ব্যঞ্জন ধ্বনির মাঝখানে স্বরধ্বনি আসে। একে বলা হয় মধ্য স্বরাগমা বা বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি।
Related Questions
ক) প্রাদিপদিক
খ) অভিশ্রুতি
গ) অপিনিহিতি
ঘ) ধ্বনিবিপর্যয়
Note : অভিশ্রুতি অপিনিহিতি ও ধ্বনিবিপর্যয় হলো ধ্বনি পরিবর্তনের বিভিন্ন প্রক্রিয়া। কিন্তু 'প্রাতিপদিক' হলো বিভক্তিহীন নাম শব্দ যা কোনো পরিবর্তনের নাম নয় বরং শব্দের একটি অবস্থা।
ক) দুই প্রকার
খ) তিন প্রকার
গ) চার প্রকার
ঘ) পাঁচ প্রকার
Note : বাংলা ব্যাকরণ অনুযায়ী ধ্বনির পরিবর্তন মূলত তিন প্রকার: ১. ধ্বনির আগম ২. ধ্বনির লোপ এবং ৩. ধ্বনির রূপান্তর।
ক) সাদৃশ্য
খ) বৈসাদৃশ্য
গ) আগত
ঘ) ধ্বনিতাত্ত্বিক
Note : বিদেশি শব্দ যখন অন্য ভাষায় প্রবেশ করে তখন সেই ভাষার উচ্চারণ রীতি অনুযায়ী শব্দটির ধ্বনিগত পরিবর্তন ঘটে। 'আমানস' থেকে 'আনারস' হওয়ার প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ ধ্বনিতাত্ত্বিক নিয়মেই ঘটেছে।
ক) শব্দের পরিবর্তনের সাথে
খ) বাক্যের পরিবর্তনের সাথে
গ) ধ্বনির পরিবর্তনের সাথে
ঘ) পদ পরিবর্তনের সাথে
Note : ভাষার মূল উপাদান হলো ধ্বনি। দেশ-কাল ও পরিবেশভেদে ধ্বনির উচ্চারণের পার্থক্য ঘটে বলেই ভাষার পরিবর্তন হয়। তাই ভাষার পরিবর্তন মূলত ধ্বনির পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত।
ক) নে + অন = নয়ন
খ) রাজ + নী = রাজ্ঞী
গ) তদ + রূপ = তদ্রূপ
ঘ) তদ + কাল = তৎকাল
Note : সঠিক সন্ধি: তদ্ + কাল = তৎকাল। অপশনে তদ বা তদ্ থাকলে সঠিক।
ক) চতুর্থ = চতুঃ + থ
খ) সতীশ = সতি + ঈশ
গ) দুগ্ধ = দুহ্ + ত
ঘ) নিষ্কর = নিঃ + কর
Note : সতীশ = সতী + ঈশ (দীর্ঘ ঈ)। অপশনে হ্রস্ব-ই থাকলে তা ভুল।
জব সলুশন
