প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নিম্নের কোন পর্যায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ সবচেয়ে ফলপ্রসূ হবে?
ক) কমিউনিটি পর্যায়ে
খ) জাতীয় পর্যায়ে
গ) উপজেলা পর্যায়ে
ঘ) আঞ্চলিক পর্যায়ে
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
দুর্যোগের প্রথম সাড়াদানকারী এবং ভুক্তভোগী হলো স্থানীয় জনগোষ্ঠী বা কমিউনিটি। তাই কমিউনিটি পর্যায়ে দুর্যোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রস্তুতিমূলক প্রশিক্ষণ এবং স্থানীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলে তা সবচেয়ে দ্রুত ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়।
Related Questions
ক) পুনর্বাসন
খ) ঝুঁকি (Risk) চিহ্নিতকরণ
গ) দুর্যোগ প্রস্তুতি
ঘ) দুর্যোগ প্রশমন কর্মকাণ্ড
Note : কার্যকর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রথম ধাপ হলো সম্ভাব্য ঝুঁকি (Risk) বা আপদ (Hazard) চিহ্নিত করা এবংその তীব্রতা ও প্রভাব মূল্যায়ন করা। ঝুঁকি চিহ্নিত করতে পারলেই পরবর্তী ধাপগুলো (প্রস্তুতি, প্রশমন, সাড়াদান, পুনরুদ্ধার) সঠিকভাবে পরিকল্পনা করা যায়।
ক) অর্থনৈতিক
খ) সামাজিক
গ) পরিবেশগত
ঘ) অবকাঠামোগত
Note : আপদ বা দুর্যোগের প্রত্যক্ষ বা তাৎক্ষণিক প্রভাব হলো যা সরাসরি চোখে দেখা যায় এবং যা ঘটনার সাথে সাথেই ঘটে। যেমন—বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, সেতু ইত্যাদি অবকাঠামোগত ক্ষতি। অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত প্রভাবগুলো সাধারণত পরোক্ষ বা দীর্ঘমেয়াদী হয়ে থাকে।
ক) পার্শ্ব গ্রাবরেখা
খ) শৈলশিলা
গ) ভি-আকৃতির উপত্যকা
ঘ) ইউ-আকৃতির উপত্যকা
Note : হিমবাহ যখন পর্বতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়, তখন তার বিশাল চাপে ও ঘর্ষণে উপত্যকার তলদেশ ও পার্শ্বদেশ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে প্রশস্ত হয় এবং 'U' আকৃতির উপত্যকা তৈরি করে। 'V' আকৃতির উপত্যকা নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত হয়।
ক) সাতক্ষিরা, যশোহর, কুষ্টিয়া
খ) নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ
গ) বগুড়া, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম
ঘ) চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাসমূহ
Note : 'ঝুম চাষ' একটি প্রাচীন পাহাড়ি কৃষি পদ্ধতি, যেখানে পাহাড়ের ঢালে জঙ্গল পুড়িয়ে পরিষ্কার করে অস্থায়ীভাবে চাষাবাদ করা হয়। এই পদ্ধতিটি মূলত বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান) ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষেরা অনুসরণ করে।
ক) আসাম
খ) মিজোরাম
গ) ত্রিপুরা
ঘ) নাগাল্যান্ড
Note : বাংলাদেশের সাথে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং মিজোরাম—এই পাঁচটি রাজ্যের সীমান্ত রয়েছে। নাগাল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের কোনো স্থল সীমান্ত নেই।
ক) বন্যা
খ) খরা
গ) ভূমিকম্প
ঘ) ঘূর্ণিঝড়
Note : বন্যা, খরা এবং ঘূর্ণিঝড় সাধারণত আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ ও পূর্বাভাসের মাধ্যমে আগে থেকে অনুমান করা যায় এবং সতর্কতা জারি করা সম্ভব। কিন্তু ভূমিকম্প ভূ-অভ্যন্তরের টেকটনিক প্লেটের আকস্মিক সঞ্চালনের ফলে হয়, যার কোনো নির্ভরযোগ্য পূর্বাভাস ব্যবস্থা এখনও আবিষ্কৃত হয়নি।
জব সলুশন