সমাসবদ্ধ শব্দে সাধারণত ণ-ত্ব বিধান খাটে না - এর উদাহরণ কোনটি?
ক) অগ্রনায়ক
খ) রতন
গ) আপন
ঘ) অনুষ্ঠান
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
সাধারণত সমাসবদ্ধ পদে পূর্বপদের শেষে যদি ঋ, র, ষ থাকে এবং পরপদে 'ন' থাকে, তাহলেও সেই 'ন' পরিবর্তিত হয়ে 'ণ' হয় না। 'অগ্রনায়ক' (অগ্র + নায়ক) একটি সমাসবদ্ধ পদ এবং এখানে নিয়ম অনুযায়ী 'ন' অপরিবর্তিত রয়েছে। এটিই ণ-ত্ব বিধান না খাটার উদাহরণ।
Related Questions
ক) মাস্টার
খ) পোশাক
গ) জিনিস
ঘ) পোস্ট মাস্টার
Note : 'পোশাক' শব্দটি ষ-ত্ব বিধানের নিয়মে শুদ্ধ। নিয়মটি হলো: অ, আ ভিন্ন অন্য স্বরধ্বনি (যেমন: ই, উ) বা ক, র-এর পরে প্রত্যয়ের 'স' পরিবর্তিত হয়ে 'ষ' হয়। এখানে 'পোশ' শব্দের মূল ধাতুতে 'ষ' ব্যবহৃত হয়েছে। 'মাস্টার', 'পোস্টমাস্টার' বিদেশি শব্দ এবং 'জিনিস' ফারসি শব্দ হওয়ায় এগুলোতে ষ-ত্ব বিধান খাটে না।
ক) রুপতত্ত্ব
খ) বাক্যতত্ত্ব
গ) ধ্বনিতত্ত্ব
ঘ) অর্থতত্ত্ব
Note : ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান হলো কোন কোন ক্ষেত্রে 'ন'-এর বদলে 'ণ' এবং 'স'-এর বদলে 'ষ' ব্যবহৃত হবে, সেই নিয়ম। যেহেতু এটি ধ্বনি ও বর্ণের সঠিক ব্যবহার সংক্রান্ত নিয়ম, তাই এটি ব্যাকরণের ধ্বনিতত্ত্ব (Phonology) অংশের আলোচ্য বিষয়।
ক) ফিটফাট
খ) সরাসরি
গ) ছটফট
ঘ) খটাখট
Note : 'ছটফট' শব্দটি একটি ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্ত শব্দ। এখানে মূল শব্দ 'ছট' হলেও ভাবের গভীরতা বোঝাতে দ্বিতীয়বার সামান্য পরিবর্তিত হয়ে 'ফট' ব্যবহৃত হয়েছে। একে বলা হয় বিকারজাত দ্বিরুক্তি।
ক) দরদর
খ) মরমর
গ) কড়কড়
ঘ) নড়নড়
Note : যেসব দ্বিরুক্ত শব্দ কোনো বাস্তব বা কল্পিত ধ্বনির অনুকরণে তৈরি হয়, তাদের ধ্বন্যাত্মক বা অনুকার দ্বিরুক্তি বলে। 'কড়কড়' শব্দটি মেঘের ডাক বা বজ্রপাতের শব্দকে অনুকরণ করে। অন্যগুলো অনুভূতি বা ভাব প্রকাশক।
ক) সমীভবন
খ) বিষমীভবর
গ) অপিনিহিত
ঘ) অসমীকরণ
Note : তদ্ভব বা খাঁটি বাংলা শব্দের ব্যঞ্জনসন্ধি মূলত উচ্চারণের সুবিধার জন্য হয়ে থাকে এবং এটি সমীভবন (Assimilation) পদ্ধতির ওপর নির্ভরশীল। সমীভবনে দুটি ভিন্ন ব্যঞ্জন একে অপরের প্রভাবে পরিবর্তিত হয়ে সমতা লাভ করে। যেমন: জন্ম > জম্ম, কাঁদনা > কান্না।
জব সলুশন