প্রকৃত বাংলা ব্যঞ্জনসন্ধি কোন নিয়মে হয়ে থাকে?
ক) সমীভবন
খ) বিষমীভবর
গ) অপিনিহিত
ঘ) অসমীকরণ
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
তদ্ভব বা খাঁটি বাংলা শব্দের ব্যঞ্জনসন্ধি মূলত উচ্চারণের সুবিধার জন্য হয়ে থাকে এবং এটি সমীভবন (Assimilation) পদ্ধতির ওপর নির্ভরশীল। সমীভবনে দুটি ভিন্ন ব্যঞ্জন একে অপরের প্রভাবে পরিবর্তিত হয়ে সমতা লাভ করে। যেমন: জন্ম > জম্ম, কাঁদনা > কান্না।
Related Questions
ক) পাঁচ প্রকার
খ) দুই প্রকার
গ) তিন প্রকার
ঘ) চার প্রকার
Note : ধ্বনির পরিবর্তন প্রধানত তিন প্রকার: ১. ধ্বন্যাগম (Prothesis) - ধ্বনির আগমন, ২. ধ্বনিলোপ (Elision) - ধ্বনির লোপ এবং ৩. ধ্বনির রূপান্তর (Metathesis/Assimilation) - এক ধ্বনির বদলে অন্য ধ্বনির ব্যবহার বা পরিবর্তন।
ক) ধ্বনি বিপর্যয়
খ) ব্যঞ্জন বিকৃতি
গ) অপিনিহিতি
ঘ) বিপ্রকর্ষ
Note : এটি ধ্বনি বিপর্যয়ের সংজ্ঞা। যখন একটি শব্দের অন্তর্গত দুটি ভিন্ন ব্যঞ্জনধ্বনি একে অপরের স্থান অধিকার করে, তখন তাকে ধ্বনি বিপর্যয় (Metathesis) বলা হয়। যেমন: বাক্স > বাস্ক, রিকশা > রিস্কা।
ক) ৬ টি
খ) ৭টি
গ) ৮টি
ঘ) ৯টি
Note : বাক্যটিতে ধ্বনি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গঠিত শব্দগুলো হলো: বউদি (বৌদিদি থেকে), ফাগুন (ফাল্গুন থেকে), সক্কাল (সকাল থেকে), বড়দা (বড়দাদা থেকে), তক্ক (তর্ক থেকে) এবং কত্তে (করিতে থেকে)। মোট ৬টি শব্দে ধ্বনি পরিবর্তন ঘটেছে।
ক) ধ্বনিবিকার
খ) শ্রুতিধ্বনি
গ) অন্তর্হতি
ঘ) ধ্বনিবিপর্যয়
Note : শব্দের মধ্য থেকে কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি লোপ পেলে তাকে অন্তর্হতি বলে। এখানে 'ফাল্গুন' শব্দের মাঝখানের 'ল' ধ্বনিটি লোপ পেয়ে 'ফাগুন' হয়েছে। তাই এটি অন্তর্হতির উদাহরণ।
ক) আজি> আইজ
খ) পিশাচ > পিচাশ
গ) পাকা> পাক্কা
ঘ) স্কুল> ইস্কুল
Note : শব্দের মধ্যে দুটি ব্যঞ্জনের পরস্পর স্থান পরিবর্তন ঘটলে তাকে ধ্বনি বিপর্যয় বলে। এখানে 'পিশাচ' শব্দের 'শ' ও 'চ' পরস্পর স্থান পরিবর্তন করে 'পিচাশ' হয়েছে। এটি ধ্বনি বিপর্যয়ের একটি ক্লাসিক উদাহরণ।
ক) স্বরধ্বনি
খ) ব্যঞ্জনধ্বনি
গ) মৌলিক ধ্বনি
ঘ) যুগ্মধ্বনি
Note : স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় ফুসফুস থেকে আসা বাতাস মুখের ভেতরের কোনো অংশে (যেমন: ঠোঁট, দাঁত, জিহ্বা) বাধা পায় না বা ঘর্ষণ লাগে না। অন্যদিকে, ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় বাতাস কোথাও না কোথাও বাধা পায়।
জব সলুশন