বউদি ফাগুন মাসের সক্কাল বেলা অযথাই বড়দার সঙ্গে তক্ক কত্তে লাগল। ' __ এই বাক্যে যে -কয়টি শব্দে ধ্বনি -পরিবর্তন ঘটেছে_
ক) ৬ টি
খ) ৭টি
গ) ৮টি
ঘ) ৯টি
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
বাক্যটিতে ধ্বনি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গঠিত শব্দগুলো হলো: বউদি (বৌদিদি থেকে), ফাগুন (ফাল্গুন থেকে), সক্কাল (সকাল থেকে), বড়দা (বড়দাদা থেকে), তক্ক (তর্ক থেকে) এবং কত্তে (করিতে থেকে)। মোট ৬টি শব্দে ধ্বনি পরিবর্তন ঘটেছে।
Related Questions
ক) ধ্বনিবিকার
খ) শ্রুতিধ্বনি
গ) অন্তর্হতি
ঘ) ধ্বনিবিপর্যয়
Note : শব্দের মধ্য থেকে কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি লোপ পেলে তাকে অন্তর্হতি বলে। এখানে 'ফাল্গুন' শব্দের মাঝখানের 'ল' ধ্বনিটি লোপ পেয়ে 'ফাগুন' হয়েছে। তাই এটি অন্তর্হতির উদাহরণ।
ক) আজি> আইজ
খ) পিশাচ > পিচাশ
গ) পাকা> পাক্কা
ঘ) স্কুল> ইস্কুল
Note : শব্দের মধ্যে দুটি ব্যঞ্জনের পরস্পর স্থান পরিবর্তন ঘটলে তাকে ধ্বনি বিপর্যয় বলে। এখানে 'পিশাচ' শব্দের 'শ' ও 'চ' পরস্পর স্থান পরিবর্তন করে 'পিচাশ' হয়েছে। এটি ধ্বনি বিপর্যয়ের একটি ক্লাসিক উদাহরণ।
ক) স্বরধ্বনি
খ) ব্যঞ্জনধ্বনি
গ) মৌলিক ধ্বনি
ঘ) যুগ্মধ্বনি
Note : স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় ফুসফুস থেকে আসা বাতাস মুখের ভেতরের কোনো অংশে (যেমন: ঠোঁট, দাঁত, জিহ্বা) বাধা পায় না বা ঘর্ষণ লাগে না। অন্যদিকে, ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় বাতাস কোথাও না কোথাও বাধা পায়।
ক) 6
খ) 7
গ) 10
ঘ) 11
Note : বাংলা ভাষায় মৌলিক স্বরধ্বনি ৭টি। এগুলো হলো: অ, আ, ই, উ, এ, অ্যা (æ), ও। এগুলোকে অন্য কোনো স্বরধ্বনির সাহায্য ছাড়া উচ্চারণ করা যায়।
ক) দন্ত্য ধ্বনি
খ) দন্তমূলীয় ধ্বনি
গ) ওষ্ঠ্য ধ্বনি
ঘ) দ্বি-ওষ্ঠ্য ধ্বনি
Note : যেসব ধ্বনি উচ্চারণের সময় ওপরের ও নিচের ঠোঁট ব্যবহৃত হয়, তাদের ওষ্ঠ্য ধ্বনি (Labial sound) বলে। প-বর্গের বর্ণগুলো (প, ফ, ব, ভ, ম) ওষ্ঠ্য ধ্বনি। 'দ্বি-ওষ্ঠ্য' (Bilabial) একটি আরও সুনির্দিষ্ট পরিভাষা, তবে 'ওষ্ঠ্য' সাধারণভাবে ব্যবহৃত ও সঠিক।
ক) খ, ঝ
খ) ক, খ
গ) ত, দ
ঘ) চ, জ
Note : যেসব ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় মুখ থেকে অধিক বাতাস বের হয় এবং একটি 'হ' ধ্বনির মতো আওয়াজ শোনা যায়, তাদের মহাপ্রাণ ধ্বনি বলে। প্রতিটি বর্গের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ণ (যেমন: খ, ঘ, ছ, ঝ, ঠ, ঢ) মহাপ্রাণ। এখানে 'খ' (ক-বর্গের ২য়) এবং 'ঝ' (চ-বর্গের ৪র্থ) উভয়ই মহাপ্রাণ ধ্বনি।
জব সলুশন