চর্যাপদের কোন পদটি খণ্ডিত আকারে পাওয়া যায়?
ক) ২৩ নং পদ
খ) ১৬ নং পদ
গ) ১০ নং পদ
ঘ) ১৮ নং পদ
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আবিষ্কৃত পুঁথিতে ২৩ সংখ্যক পদটি খণ্ডিত আকারে পাওয়া গিয়েছিল। এর শেষাংশ ছিল না। পরে তিব্বতি অনুবাদ থেকে ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী এর পূর্ণাঙ্গ রূপ উদ্ধার করেন।
Related Questions
ক) ২০০৭ সালে
খ) ১৯০৭ সালে
গ) ১৯১৬ সালে
ঘ) ১৯০৯ সালে
Note : মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে 'চর্যাপদ' আবিষ্কার করেন। এটি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা।
ক) মুনিদত্ত
খ) প্রবোধচন্দ্র বাগচী
গ) কীর্তিচন্দ্র
ঘ) হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
Note : চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদক ছিলেন কীর্তিচন্দ্র বা চন্দ্রকীর্তি। ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী এই তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করে চর্যার অনেক অজানা তথ্য উন্মোচন করেন।
ক) ৪টি
খ) ৩টি
গ) ৫টি
ঘ) ৬টি
Note : পঠন-পাঠন ও আলোচনার সুবিধার জন্য বাংলা সাহিত্যের হাজার বছরের ইতিহাসকে প্রধানত তিনটি যুগে ভাগ করা হয়। যথা: ১. প্রাচীন যুগ (৬৫০-১২০০), ২. মধ্যযুগ (১২০১-১৮০০), এবং ৩. আধুনিক যুগ (১৮০১-বর্তমান)।
ক) পাল
খ) সেন
গ) মোগল
ঘ) তুর্কি
Note : 'চর্যাপদ' রচনার সময়কাল (সপ্তম-দ্বাদশ শতক) বাংলায় পাল রাজবংশের (আনুমানিক ৭৫০-১১৭৪ খ্রি.) শাসনের সঙ্গে মিলে যায়। পাল রাজারা বৌদ্ধধর্মের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন, যা চর্যাপদ রচনার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছিল।
ক) গোবিন্দদাস
খ) কায়কোবাদ
গ) কাহ্নপা
ঘ) ভুসুকুপা
Note : চর্যাপদের একজন পদকর্তা ভুসুকুপা তাঁর ৪৯ সংখ্যক পদে লিখেছেন, 'আজি ভুসুকু বাঙ্গালী ভইলী', অর্থাৎ 'আজ ভুসুকু বাঙালি হলো'। এই উক্তির মাধ্যমে তিনি স্পষ্টভাবে নিজেকে বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
ক) অক্ষরবৃত্ত
খ) মাত্রাবৃত্ত
গ) স্বরবৃত্ত
ঘ) অমিত্রাক্ষর ছন্দ
Note : চর্যাপদের ছন্দ মূলত মাত্রাবৃত্ত। এর প্রতিটি পদে সাধারণত ১৬টি মাত্রা থাকে, যা চারটি পর্বে বিভক্ত (৪+৪+৪+৪)। তবে কিছু পদে মাত্রার ব্যতিক্রমও দেখা যায়।
জব সলুশন