ব্যঞ্জন বর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে কি বলা হয়?
Related Questions
ব্যঞ্জনবর্ণের বিকল্প রূপের সর্বাধিক পরিচিত নাম হচ্ছে অনুবর্ণ। এটি ব্যঞ্জনবর্ণের শব্দের পরিবর্তে ব্যবহৃত একটি বিশেষ ধরনের বৈচিত্র্য, যা কণ্ঠবর্ণ বা স্বরবর্ণের পরিবর্তে ব্যবহৃত হতে পারে। বিভিন্ন ভাষার ব্যাকরণে অনুবর্ণ সাধারণত শব্দের উচ্চারণে বিশেষ পরিবর্তন আনতে সাহায্য করে।
যেমন - আ - কার, ই - কার,ঈ - কার, উ - কার, ঊ - কার, ঋ - কার, এ - কার, ঐ - কার,ও - কার, ঔ - কার। স্বরবর্ণের কার চিহ্ন মোট ১০টি।
অসংযুক্ত বর্ণ বলতে কী বোঝায়?
"অসংযুক্ত বর্ণ" বলতে সেই বর্ণগুলোকে বোঝায় যেগুলো এককভাবে উচ্চারিত হতে পারে এবং যাদের সঙ্গে অন্য কোনো বর্ণের মিলন ঘটেনি। অর্থাৎ, এগুলি মৌলিক বর্ণ। বাংলা বর্ণমালায় যুক্তবর্ণ (যেমন: ক্ষ, জ্ঞ) রয়েছে, যেগুলো একাধিক ব্যঞ্জনবর্ণের সমন্বয়ে গঠিত; অসংযুক্ত বর্ণ বলতে সেই একক বা মৌলিক বর্ণগুলিকেই বোঝানো হয়।
বর্ণের বিভাজন:
১. স্বরবর্ণ (১১টি): স্বরবর্ণগুলো হলো সেই ধ্বনি, যা উচ্চারণের সময় মুখগহ্বরের কোথাও বাতাস বাধা পায় না এবং যা নিজে নিজে উচ্চারিত হতে পারে।
বাংলা বর্ণমালায় মোট ১১টি স্বরবর্ণ রয়েছে: অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ।
২. ব্যঞ্জনবর্ণ (৩৯টি): ব্যঞ্জনবর্ণগুলো উচ্চারণের জন্য স্বরবর্ণের সাহায্যের প্রয়োজন হয় এবং উচ্চারণের সময় মুখগহ্বরের কোনো না কোনো স্থানে বাতাস বাধা পায়।
বাংলা বর্ণমালায় মোট ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণ রয়েছে: ক, খ, গ, ঘ, ঙ, চ, ছ, জ, ঝ, ঞ, ট, ঠ, ড, ঢ, ণ, ত, থ, দ, ধ, ন, প, ফ, ব, ভ, ম, য, র, ল, শ, ষ, স, হ, ড়, ঢ়, য়, ৎ, ং, ঃ, ঁ।
সুতরাং, ১১টি স্বরবর্ণ এবং ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণ মিলে বাংলা বর্ণমালায় মোট ৫০টি অসংযুক্ত বর্ণ রয়েছে।
জব সলুশন