শব্দার্থ অনুসারে বাংলা ভাষার শব্দ সমষ্টিকে ভাগ করা যায়-
ক) দুই ভাগে
খ) তিন ভাগে
গ) চার ভাগে
ঘ) পাঁচ ভাগে
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
অর্থানুসারে বা অর্থগতভাবে বাংলা শব্দ তিন প্রকার: ১. যৌগিক শব্দ (ব্যুৎপত্তিগত ও ব্যবহারিক অর্থ এক), ২. রূঢ়ি শব্দ (ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও ব্যবহারিক অর্থ ভিন্ন), এবং ৩. যোগরূঢ় শব্দ (সমাসবদ্ধ পদ যা বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে)।
Related Questions
ক) পবনের পুত্র
খ) বিশেষভাবে বহন করে আনা
গ) বৃহস্পতির পুত্র
ঘ) বায়ুর বাহন
Note : 'বিবাহ' (বি+বহ্+অ) শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হলো 'বিশেষভাবে বহন করা', যা দ্বারা কনের দায়িত্ব বর গ্রহণ করে, এই অর্থ বোঝানো হয়।
ক) বাংলা
খ) সংস্কৃত
গ) প্রাকৃত
ঘ) তদ্ভব
Note : 'চর্মকার' একটি তৎসম বা সংস্কৃত শব্দ, যার অর্থ 'জুতা বা চামড়ার জিনিস নির্মাতা'। এর তদ্ভব রূপ 'চামার'।
ক) দেশি
খ) মিশ্র
গ) তদ্ভব
ঘ) তৎসম
Note : 'বাড়ি' শব্দটি সংস্কৃত 'বাটী' বা 'বাটিকা' থেকে পরিবর্তিত হয়ে এসেছে, তাই এটি একটি তদ্ভব শব্দ।
ক) তৎসম
খ) অর্ধ-তৎসম
গ) তদ্ভব
ঘ) দেশি
Note : 'গেরাম' শব্দটি তৎসম 'গ্রাম' থেকে কিছুটা বিকৃত হয়ে ব্যবহৃত হয়। তাই এটি একটি অর্ধ-তৎসম শব্দ।
ক) জাপানি
খ) বর্মি
গ) হিন্দি
ঘ) চৈনিক
Note : 'হারিকিরি' (পেট কেটে আত্মহত্যা) একটি জাপানি প্রথা এবং শব্দটি জাপানি ভাষা থেকে এসেছে।
ক) বাংলা
খ) আরবি
গ) ফারসি
ঘ) হিন্দি
Note : 'আমদানি' একটি ফারসি শব্দ, যা 'আমদ' (আসা) থেকে উদ্ভূত।
জব সলুশন