পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারটি কী নামে পরিচিত ছিল ?
সপ্তম শতাব্দীতে নির্মিত পাহাড়পুরের বৌদ্ধ বিহারটি সোমপুর বিহার নামে পরিচিত ছিল।
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর বিহার বা সোমপুর মহাবিহার বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার। পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপাল দেব (৭৮১ - ৮২১) অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন। ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম এই বিশাল স্থাপনা আবিষ্কার করেন।
Related Questions
বাংলার নববর্ষ ‘পহেলা বৈশাখ’ সম্রাট আকবর চালু করেছিলেন।
খাজনা আদায়ে সুষ্ঠুতা প্রণয়নের লক্ষ্যে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। তিনি মূলত প্রাচীন বর্ষপঞ্জিতে সংস্কার আনার আদেশ দেন। সম্রাটের আদেশ মতে রাজকীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সন এবং আরবি হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম বিনির্মাণ করেন।
১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ১১ই মার্চ থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় (৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬) থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন, পরে "বঙ্গাব্দ" বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়।
আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন শুরু হয়। তখন প্রত্যেককে বাংলা চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে বাধ্য থাকত।
প্রথম পর্তুগিজ বণিক যোয়াও কোয়েলহো ১৫১৬ খ্রিস্টাব্দের দিকে গঙ্গায় এসে পৌঁছেন। ১৪৯৮ সালে ভাস্কো দা গামা প্রথম ভারত বর্ষে আসার জলপথ আবিষ্কার করেন। শেষে আসে ফরাশী রা।
বাংলাদেশের লোকশিল্প জাদুঘর সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত।
শিল্পাচার্য জয়নুল লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর, বাংলাদেশের প্রাচীন ঐতিহ্য রক্ষার্থে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গঠিত একটি জাদুঘর, যা ঢাকার অদূরে সোনাগাঁতে অবস্থিত।
এর অবস্থান ঢাকা থেকে ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ - পূর্বে এবং ঢাকা - চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার অভ্যন্তরে।
আবহমান গ্রাম বাংলার লোক সাংস্কৃতিক ধারাকে বিকশিত করার উদ্যোগে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে ১২ মার্চ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সোনারগাঁয়ের ঐতিহাসিক পানাম নগরীর একটি পুরনো বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন।
বিখ্যাত সাধক শাহ সুলতান বলখীর মাজার মহাস্থানগড়ে অবস্থিত।
শাহ সুলতান বলখী মাহিসাওয়ার ১৪শ শতাব্দির মুসলিম ধর্ম প্রচারক তিনি পুণ্ড্রবর্ধন (বর্তমান বগুড়া জেলা) এবং সন্দ্বীপ ইসলাম প্রচার করেছিলেন।
তিনি আফগানিস্তানের বালখ রাজ্যের সম্রাট ছিলেন। তিনি ছিলেন বালখ রাজ্যের সম্রাট শাহ আলী আসগরের পুত্র, পিতার মৃত্যুর পর তাকেই সম্রাট হিসেবে ঘোষণা করা হয় কিন্তু তিনি তার সাম্রাজ্য ছেড়ে দরবেশ হয়েছিলেন, ৪৪ হিজরীতে তিনি পুন্ড্রবর্ধনে আসার আগে প্রথমে বাংলার সন্দ্বীপে পৌছেন। পরে তিনি মহাস্তান গড়ে (পুন্ড্রবর্ধনের রাজধানী)আসেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত হয় এবং একই বছর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে বলবৎ হয়। সংবিধানে এগারোটি ভাগ ও চারটি সিডিউলে বিন্যস্ত মোট ১৫৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে।
১০ এপ্রিল ১৯৭১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করা হয় এবং অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়। অস্থায়ী সরকার বা মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ সালে মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলায়। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন অধ্যাপক এম ইউসুফ আলী।
স্বাধীনতার__ইশতেহার:
- ঘোষণা ও পাঠ: ৩ মার্চ ১৯৭১
- পাঠের স্থান :পল্টন ময়দান,ঢাকা
- পাঠক ছিলেন : শাজাহান সিরাজ
- ঘোষক :স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ
স্বাধীনতার__ঘোষণা:
- ঘোষণা : ১৯৭১ সাল ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে । ওয়ারলেস্/ ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে ।
- ঘোষক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
- ঘোষণার স্থান:ধানমন্ডির ৩২ নং বাড়ি
- প্রথম পাঠক: এম এ হান্নান,২৬ মার্চ,৭১
- পাঠের স্থান :স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র
স্বাধীনতার__ঘোষণা পত্র:
- জারি :১০ এপ্রিল ১৯৭১
- জারি করেন: মুজিবনগর সরকার
- ঘোষণাপত্র পাঠ:১৭ এপ্রিল ১৯৭১
- পাঠের স্থান :মেহেরপুর,কুষ্টিয়া
জব সলুশন