বাংলা ভাষায় গুরুচণ্ডালী দোষ মানে হলো-
ক) উপমার ভুল প্রয়োগ
খ) বাগধারার রদবদল
গ) অপ্রচলিত ও দুর্বোধ্য শব্দ ব্যবহার
ঘ) তৎসম শব্দের সঙ্গে দেশি শব্দের প্রয়োগ
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের সাথে দেশি শব্দের অসঙ্গতিপূর্ণ মিশ্রণকে গুরুচণ্ডালী দোষ বলা হয়। যেমন মড়াদাহ না বলে মড়াপোড়া বলা উচিত।
Related Questions
ক) আঞ্চলিক দোষ
খ) গুরুচণ্ডালী দোষ
গ) বাহুল্য দোষ
ঘ) উপ্রেক্ষা দোষ
Note : একই বাক্যে সাধু ও চলিত ভাষার শব্দের মিশ্রণ ঘটলে তাকে গুরুচণ্ডালী দোষ বলে। এটি বাক্যের যোগ্যতা নষ্ট করে।
ক) বাগধারার দোষ
খ) গুরুচণ্ডালী দোষ
গ) উপমার ভুল প্রয়োগ
ঘ) বাহুল্য দোষ
Note : হৃদয় মন্দিরের সাথে বীজ বোনা বা উপ্ত হওয়ার সম্পর্ক নেই কারণ মন্দিরে বীজ বোনা যায় না। এটি ক্ষেত বা মাঠের সাথে তুলনীয় হতে পারত তাই এখানে উপমার ভুল প্রয়োগ হয়েছে।
ক) ৩টি
খ) ৪টি
গ) ৫টি
ঘ) ৬টি
Note : শব্দের যোগ্যতার সঙ্গে সাধারণত ছয়টি বিষয় জড়িত থাকে। যেমন- রীতিসিদ্ধ অর্থবাচকতা দুর্বোধ্যতা বর্জন উপমার ভুল প্রয়োগ বর্জন বাহুল্য বর্জন বাগধারার সঠিক প্রয়োগ এবং গুরুচণ্ডালী দোষ বর্জন।
ক) আসত্তির অভাব
খ) পদবিন্যাসে ত্রুটি থাকা
গ) অর্থ অস্পষ্ট বলে
ঘ) যোগ্যতার অভাব
Note : গরু তৃণভোজী প্রাণী তাই তার পক্ষে মাংস খাওয়া অসম্ভব। এখানে অর্থের সাথে বাস্তবতার মিল নেই বলে বাক্যটিতে যোগ্যতার অভাব রয়েছে।
ক) আকাঙ্ক্ষা
খ) যোগ্যতা
গ) আসক্তি
ঘ) আসত্তি
Note : সার্থক বাক্যের গুণ হলো আকাঙ্ক্ষা আসত্তি ও যোগ্যতা। আসক্তি (Addiction/Attachment) বাক্যের কোনো ব্যাকরণিক গুণ নয়।
ক) আকাঙ্ক্ষা
খ) আসত্তি
গ) যোগ্যতা
ঘ) উদ্দেশ্য
Note : অরণ্যে রোদন একটি বিশিষ্টার্থক বাগধারা যার অর্থ নিষ্ফল আবেদন। এর শব্দ পরিবর্তন করে বনে ক্রন্দন বললে বাগধারার বিশেষ অর্থ নষ্ট হয় ফলে বাক্যটি তার যোগ্যতা গুণটি হারায়।
জব সলুশন