বঁধু’ হচ্ছে-
ক) পুংলিঙ্গ
খ) স্ত্রীলিঙ্গ
গ) নিত্য স্ত্রীলিঙ্গ
ঘ) উভয় লিঙ্গ
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
বঁধু' শব্দটি পুরুষ ও স্ত্রী উভয় লিঙ্গকে বোঝাতে পারে। যেমন 'আমার বঁধু যায় রথ দেখতে' (নারীকে বোঝাতে) অথবা 'বঁধু হে কী করি আমি?' (পুরুষকে বোঝাতে)। তাই এটি একটি উভয়লিঙ্গ শব্দ।
Related Questions
ক) নিত্য স্ত্রীলিঙ্গ
খ) নিত্য পুংলিঙ্গ
গ) স্ত্রীলিঙ্গ
ঘ) উভয়লিঙ্গ
Note : সপত্নী' (সহোদরা বা সতীন) শব্দটি যদিও একজন নারীকে বোঝায় এবং প্রচলিত ব্যাকরণে এটি 'নিত্য স্ত্রীলিঙ্গ' হিসেবে পরিচিত তবুও কিছু বিশেষ ব্যাকরণগত ব্যাখ্যায় শব্দটির গঠনগত বা সম্পর্কসূচক মূলভাবকে পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করে এটিকে 'নিত্য পুংলিঙ্গ' শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। এটি একটি অপ্রচলিত বা বিতর্কিত শ্রেণিবিন্যাস।
ক) বিধাত্রী
খ) আয়া
গ) কিশোরী
ঘ) চক্র বাকী
Note : 'বিধাতা' একটি ঋ-কারান্ত পুরুষবাচক শব্দ এবং এর স্ত্রীবাচক রূপ হলো 'বিধাত্রী'। ঋ-কারান্ত শব্দের স্ত্রীবাচক রূপ বোঝাতে সাধারণত 'ত্রী' প্রত্যয় যুক্ত হয়। অন্যান্য অপশনগুলো ঋ-কারান্ত শব্দ নয় বা তাদের স্ত্রীবাচক রূপ ভিন্ন।
ক) আনী
খ) নী
গ) ঈ
ঘ) লানী
Note : মাতুল' (পুরুষবাচক) শব্দের সাথে 'আনী' প্রত্যয় যোগে 'মাতুলানী' (স্ত্রীবাচক) শব্দটি গঠিত হয়েছে। এটি একটি প্রচলিত ও সঠিক স্ত্রীবাচক প্রত্যয়। অন্যান্য প্রত্যয়গুলো এই শব্দ গঠনে ব্যবহৃত হয়নি।
ক) স্ত্রীবাচক
খ) পুরুষবাচক
গ) নিত্য পুরুষবাচক
ঘ) নিত্য স্ত্রীবাচক
Note : খাঁটি বাংলা শব্দে বিশেষণ পদের সাধারণত কোনো লিঙ্গ পরিবর্তন হয় না। অর্থাৎ বিশেষ্য পদ পুরুষবাচক বা স্ত্রীবাচক যাই হোক না কেন বিশেষণটি তার পুরুষবাচক রূপেই অপরিবর্তিত থাকে। উদাহরণস্বরূপ 'ভালো ছেলে' এবং 'ভালো মেয়ে' বাক্যগুলোতে 'ভালো' বিশেষণটির কোনো পরিবর্তন হয় না এটি পুরুষবাচক রূপেই ব্যবহৃত হয়।
ক) বিদুষী
খ) নিদুষী
গ) বিদুয়িণী
ঘ) বিদ্বানী
Note : বিদ্বান' একটি তৎসম পুরুষবাচক শব্দ যার সঠিক স্ত্রীবাচক রূপ হলো 'বিদুষী'। এটি ব্যাকরণের একটি নিয়মসিদ্ধ পরিবর্তন।
ক) মৎসী মনুষী
খ) মৎসা মনুষ্যা
গ) মৎসিনী মানষী
ঘ) কোনটিই নয়
Note : মৎস্য' এর সঠিক স্ত্রীবাচক রূপ হলো 'মৎসী' এবং 'মনুষ্য' এর সঠিক স্ত্রীবাচক রূপ হলো 'মনুষী'। এই রূপগুলো বাংলা ব্যাকরণের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী সঠিক ও গ্রহণযোগ্য।
জব সলুশন