সমাসে পূর্বপদ ও পরপদের কোনটির অর্থ না বুঝিয়ে অন্য কিছু বোঝায় তাকে কোন সমাস বলে?
ক) দ্বিগু সমাস
খ) তৎপুরুষ সমাস
গ) বহুব্রীহি সমাস
ঘ) কর্মধারয় সমাস
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
বহুব্রীহি সমাসে সমাসবদ্ধ পদটি পূর্বপদ বা পরপদ কোনোটির অর্থ না বুঝিয়ে, তৃতীয় বা ভিন্ন কোনো ব্যক্তি, বস্তু বা ভাবকে বোঝায়। যেমন: 'নীলকণ্ঠ' (নীল কণ্ঠ যার) বলতে শিবকে বোঝানো হয়, নীল বা কণ্ঠকে নয়।
Related Questions
ক) সর্বনাম
খ) বিশেষ্য
গ) বিশেষ
ঘ) অনুসর্গ
Note : উক্তি পরিবর্তনের সময় (প্রত্যক্ষ থেকে পরোক্ষ বা পরোক্ষ থেকে প্রত্যক্ষ) বক্তা ও শ্রোতার পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তনের সাথে সংগতি রেখে বাক্যের সর্বনাম পদ (যেমন: আমি, তুমি, সে) এবং ক্রিয়াপদের পরিবর্তন করা আবশ্যক।
ক) প্রচণ্ড উত্তেজনা
খ) রাশভারী
গ) প্রবল আনন্দিত
ঘ) অপ্রত্যাশিত বিপদ
Note : 'সপ্তমে চড়া' বাগধারাটির অর্থ হলো প্রচণ্ড উত্তেজনা বা প্রচণ্ড রেগে যাওয়া। যখন কেউ খুব বেশি উত্তেজিত বা ক্রুদ্ধ হয়, তখন এই বাগধারাটি ব্যবহার করা হয়।
ক) উপমান কর্মধারয়
খ) উপমিত কর্মধারয়
গ) রূপক কর্মধারয়
ঘ) মধ্যপদলোপী কর্মধারয়
Note : 'জীবন বীমা' এর ব্যাসবাক্য হলো 'জীবনের ঝুঁকি নিরূপণের জন্য যে বীমা'। এখানে ব্যাসবাক্যের মধ্যবর্তী পদ 'ঝুঁকি নিরূপণের জন্য যে' লোপ পেয়ে সমাস গঠিত হয়েছে। তাই এটি মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস।
ক) √ধৃ+যা
খ) √ধৃ+য
গ) √ধার+য
ঘ) কোনোটিই নয়
Note : 'ধার্য' শব্দটির সঠিক প্রকৃতি-প্রত্যয় হলো √ধৃ + য (য-প্রত্যয়)। 'ধৃ' ধাতুর অর্থ ধারণ করা। এর সাথে 'য' প্রত্যয় যুক্ত হয়ে 'ধার্য' শব্দটি গঠিত হয়েছে, যার অর্থ নির্ধারণ করা হয়েছে এমন। প্রদত্ত অপশনগুলোতে সঠিক উত্তরটি নেই।
ক) এ, ঐ
খ) ই, ঈ
গ) উ, ঊ
ঘ) ও, ঔ
Note : যেসব বর্ণ উচ্চারণের সময় জিহ্বার মধ্যভাগ তালুর কাছাকাছি আসে, সেগুলোকে তালব্য বর্ণ বলে। ই, ঈ, চ, ছ, জ, ঝ, ঞ, য, শ হলো তালব্য বর্ণ। প্রদত্ত অপশনগুলোর মধ্যে 'ই, ঈ' সঠিক।
ক) 5
খ) 7
গ) 10
ঘ) 11
Note : বাংলা ভাষায় মৌলিক স্বরধ্বনির সংখ্যা ৭টি। এগুলো হলো: অ, আ, ই, উ, এ, অ্যা, ও। লিখিত রূপে 'অ্যা' ধ্বনির জন্য আলাদা কোনো বর্ণ নেই।
জব সলুশন